ভারতের থেকে ইজরায়েলের বন্ধুত্ব সর্বজন স্বীকৃত। সেই সুত্রেই দুটি দেশ আবদ্ধ হল শিক্ষা এবং গবেষনা সুত্রেও, ইতিমধ্যেই ভারতও ইজরায়েলি ছাত্র দের জন্য চালু করেছে এক গুচ্ছ উচ্চশিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর পড়াশুনো। এবং ইজরায়েলও ভয়াতীয় ছাত্রদের জন্য নিয়ে এলো কিছু সর্ট এবং লং টার্ম সুযোগ।
পাশ্চাত্যের দেশগুলিতে অর্থনৈতিক মন্দার জেরে যখন স্কলারশিপের সুযোগ কমেছে, তখন গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে ইজরায়েলকে গন্তব্য করা যেতেই পারে। ইজরায়েল সরকার ভারতীয়দের উচ্চশিক্ষা তথা গবেষণার জন্য ২০১২-১৩ সাল থেকে নতুন সেশনে ভর্তি হতে আগ্রহীদের জন্য স্কলারশিপের ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থী তথা গবেষকের টিউশন ফি, মাসিক ভাতা ও স্বাস্থ্যবিমা এই স্কলারশিপের অন্তর্ভুক্ত। ইজরায়েলে থাকা, যাতায়াত, বিমান ও গাড়িতে ভ্রমণের দায়িত্ব শিক্ষার্থীর নিজের। যে সমস্ত বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে এই স্কলারশিপের আবেদন করা যাবে, সেগুলি হল কম্পারেটিভ স্টাডি (উইথ স্পেশাল রেফারেন্স টু জুডাইজম্), মিডল ইস্ট স্টাডিজ, হিব্রু ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার, হিস্ট্রি অব দ্য জিউয়িশ পিপল, ইকনমিক্স, এগ্রিকালচার, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, মাস কমিউনিকেশন, এনভায়রনমেন্ট স্টাডিজ, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি ও বায়োটেকনোলজি। কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এই স্কলারশিপ পাওয়া যাবে। স্কলারশিপের সময়সীমা ৮ মাস।
ইজরায়েলে এগ্রিকালচার, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, এনভায়রনমেন্ট স্টাডিজ নিয়ে গবেষণা বা স্পেশালাইজেশন করতে হলে আবেদনকারীর মাস্টারস ডিগ্রিতে ৬০ শতাংশ নম্বর থাকা বাঞ্ছনীয়। বাকি বিষয়গুলিতে আবেদনের জন্য মাস্টারস ডিগ্রিতে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকলেই চলবে। ইংরাজি অথবা হিব্রু ভাষায় দখল থাকার প্রমাণ দাখিল করতে হবে। বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১১। বিস্তারিত জানতে দেখতে হবে ওয়েবসাইট: http://www.sakshat.ac.in. অথবা ই-মেল করা যেতে পারে এই ঠিকানায়: [email protected]