শান্ত সমুদ্রতট আর ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের জন্যই বিখ্যাত হেনরি আইল্যান্ড। জায়গাটার আরেকটা আকর্ষণ, পাখি। বিশেষ করে শীতের এই সময়টায় প্রচুর পরিযায়ী পাখিতে ভরে থাকে হেনরি আইল্যান্ড। তাছাড়া সি-বিচে ভর্তি লাল কাঁকড়া চোখ জুড়িয়ে দেবে। কাজেই ক্যামেরা না নিয়ে গেলে আফশোস করতে হতে পারে!
বকখালি কিংবা ফ্রেজারগঞ্জের চেয়ে হেনরি আইল্যান্ডের সমুদ্রতট অনেকটাই নির্জন। কিরণ বিচ ধরে হেঁটে বেড়াতে অপূর্ব লাগবে! সুন্দরী, গরাণ, হেতালের মতো গাছে ভর্তি আশপাশটা। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো জায়গাটা উপভোগ করতে পারেন। দূরে সুন্দরবনের অন্যান্য দ্বীপ চোখে পড়বে।
ম্যানগ্রোভের জঙ্গলের ভিতরের পথ আর বাঁশের সাঁকো ধরে হেঁটে যাওয়ার অভিজ্ঞতাই আলাদা। জঙ্গলের রাস্তার শেষে উঁকি দেয় সমুদ্র। এখানে রাজ্য মত্স্য দফতরের প্রকল্প রয়েছে। দেখে আসতে পারেন, কীভাবে টাটকা মাছ প্রসেস করা হয় সেখানে। কাছাকাছি জম্বুদ্বীপ থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
হেনরি আইল্যান্ডে ঢোকার জন্য টিকিট কাটতে হয়। গাড়ির জন্য আলাদা চার্জ। সন্ধের পর যদিও পর্যটকদের আর ঢুকতে দেওয়া হয় না। বিচে বসার চেয়ার ভাড়াও পাওয়া যায়।
কীভাবে যাবেন: কলকাতা থেকে বাসে কিংবা শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে নামখানা পৌঁছতে হবে। সেখান থেকে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরোলে বকখালি। সেখান থেকে হেনরি আইল্যান্ড তিন কিলোমিটারের রাস্তা। ভ্যান পাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন: সল্টলেকের বিকাশ ভবন থেকে বুক করতে পারেন মৎস্য দফতরের রিসর্ট। সুন্দরী, গরাণ আর হেতাল নামে তিনটে গেস্ট হাউজ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের রিসর্টের বুকিং করতে হবে ডালহৌসিতে সংস্থার অফিস থেকে।