সুদীপ রায় ২০১৪ সালে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশে যোগ দেন। ওই বছরের জুনে ডাফরিন রোডে কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি একটি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। একটি মিনিবাস তাঁকে আঘাত করে এবং তাঁর ডান পা গুরুতর আহত হয়।
কলকাতা সিএমআরআই হাসপাতালে অবিলম্বে সুদীপের অস্ত্রোপচার হয়, যদিও তা সফল হয়নি। তাঁর ডান পা কেটে বাদ দিতে হয় এবং একটি ধাতব পাতের মাধ্যমে শ্রোণিসন্ধিকে জুড়ে দেওয়া হয়। চার মাস শয্যাশায়ী এবং তার পরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা সুদীপ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই নিজের কাজে যোগ দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে পড়েন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাথে একটি ইনটারভিউতে সুদীপ বলেন- “আমি সারাজীবন সার্জেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। রাস্তায় থাকতে আমি স্রেফ ভালোবাসি। এটা না করলে হয়তো আমি বাঁচতে পারব না। এই একটি লক্ষ্য আমাকে সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। যেভাবেই হোক আমি আমার কাজে যোগ দেবো। ”
দ্য বেটার ইন্ডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদীপকে তাঁর পুনর্বাসনের পর একটি কৃত্রিম পা দেওয়া হয়েছিল। সুদীপের সিনিয়র সহকর্মীরা তাঁকে ট্রাফিক পুলিশ বাহিনী থেকে পদত্যাগ করে একটি বিকল্প চাকরি খুঁজতে বলেন, যেখানে তিনি তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন ।
যাইহোক, এতে দমে না গিয়ে সুদীপ তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি আবেদন পাঠান যাতে তিনি যেভাবে এবং যখন সম্ভব পুনরায় তাঁর কর্তব্যে বহাল হতে পারেন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতেই সুদীপ ট্রাফিক কনস্টেবল হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। তিনিই দেশের প্রথম ট্রাফিক পুলিশ যিনি কৃত্রিম পা নিয়ে তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। সুদীপরা সফল হয়ে উঠুক এই আমাদের কামনা ।